Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সেবার তালিকা

উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহঃ                   

          ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহের মেয়াদ ৭ দিন থেকে ২১ দিন। এটি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ এবং এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য কোন ফি দিতে হয় না। ইউনিট থানা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে এ প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করা হয়ে থাকে।                                  

২। দারিদ্র্য বিমোচন ও ঋণ কর্মসূচিঃ

         সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে বেকার যুবরা দারিদ্রে্যর মধ্যে বসবাস করে। তাদের নিজস্ব কোন সম্পদ ও কর্মসংস্থান না থাকায় তাদের পক্ষে খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মত মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা সম্ভব হয় না। দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে এহেন মানবেতর অবস্থা নিরসন এবং বেকার যুবদের জন্যে একটি সুখকর জীবনের ব্যবস্থা করা দারিদ্র্য বিমোচন ও ঋণ কর্মসূচির মূখ্য উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের সকল উপজেলাতেই এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

ক) পরিবারভিত্তিক কর্মসংস্থান কর্মসূচিঃ

           পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো পরিবারিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করে বেকার দরিদ্র জনগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টি । দেশের মোট ২৫৮টি উপজেলায় ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাসত্মবায়নের অনুমোদন থাকলেও জনবলের অভাবে ২৩৬টি উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় পরিবারের ঐতিহ্যগত পেশাকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব নিরসন ও পারিবারিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য সমুন্নত রেখে কার্যক্রম সম্প্রসারণ, জীবনযাপনের মান ধাপে ধাপে উন্নয়নকল্পে পরিবারে সঞ্চয় অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য-পরিচর্যা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশ উন্নয়নে জনগোষ্ঠিকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের আওতায় একই পরিবারের অথবা নিকট আত্মীয় বা প্রতিবেশী পরিবারের পরস্পরের প্রতি আস্থাভাজনদের নিয়ে ৫ সদস্যের গ্রম্নপ গঠন করা হয়। একই গ্রামের স্থায়ী নিবাসী এরূপ ৮ থেকে ১০টি গ্রুপ নিয়ে একটি কেন্দ্র গঠিত হয়। কেন্দ্রের প্রত্যেক সদস্যকে ১ম, ২য়, ৩য়, দফায় যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১০০০০/-, ১৫০০০/- ও ২০০০০/- টাকা হারে ঋণ প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩য় দফা পর্যন্ত সফল ঋণ পরিশোধকারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে একটি কেন্দ্র হতে সর্বোচ্চ ০৫ জনকে আত্মকর্ম ঋণের নীতি পদ্ধতি অনুসরণ করে এন্টারপ্রাইজ ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মচারীগণ গ্রাম পর্যায়ে ঋণ বিতরণ এবং কেন্দ্র থেকে ঋণের কিস্তি সংগ্রহ করে। গ্রেস পিরিয়ড অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের প্রস্ত্ততি সময় অতিক্রম করার পর সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ আদায় করা হয়। কোন উপকারভোগীকে ঋণ গ্রহণ ও কিস্তি পরিশোধের জন্য অফিসে আসার প্রয়োজন হয় না। মূলধন পাওনার উপর ১০% (ক্রমহ্রাসমান) হারে সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয়। এখানে সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধিত আসলের উপর পরবর্তীতে আর কোন সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয় না বিধায় মেয়াদ শেষে গড় সার্ভিস চার্জের হার প্রকৃত হিসেবে ৫% দাঁড়ায়। তবে মনে রাখা প্রয়োজন যাঁরা সময়মত সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করেন তারাই সার্ভিস চার্জের ক্ষেত্রে বর্ণিত ৫% এর সুযোগ পেয়ে থাকেন। এ ঋণ প্রাপ্তির জন্যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। তবে মনোনীত সদস্যদের ৫দিনব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ঋণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উপর গ্রাম পর্যায়ে কেন্দ্রভিত্তিক ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা  করা হয়। পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের ক্রমপুঞ্জিত ঋণ আদায়ের হার ৯৭%।

খ) যুব প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচিঃ

           এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪টি জেলা ও ৪৯৬টি উপজেলায় (১০টি মেট্রোপলিটন ইউনিট থানাসহ) কার্যক্রম রয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় জেলা সদরে উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। এসব প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ১ মাস হতে ৬ মাস পর্যন্ত। এছাড়া স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন ট্রেডে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ৪৯৬টি উপজেলায় স্বল্প মেয়াদি অপ্রাতিষ্ঠানিক ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। দেশব্যাপি পরিচালিত যুবদের আত্মকর্মসংস্থান ও আয় সঞ্চারণমূলক কর্মকা- বেকার সমস্যা সমাধান এবং দারিদ্র্য বিমোচনে উলেস্নখযোগ্য অবদান রাখছে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষিত বেকার যুবদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক/ অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে একক (ব্যক্তিকে) ঋণ প্রদান করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে একজন প্রশিক্ষিত যুবক/যুবমহিলাকে ৫০,০০০/- থেকে ১,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে ৩০,০০০/- থেকে ৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়। জেলা ও উপজেলায় দুটি কমিটির মাধ্যমে যথাক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ অনুমোদন করা হয়। ঋণ প্রাপ্তির জন্য একজন ঋণ গ্রহিতাকে ২ জন জামিনদার নিশ্চিত করতে হয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক/ অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক। গ্রেস পিরিয়ড অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের প্রস্ত্ততি সময় অতিক্রম করার পর বিভিন্ন ট্রেডের জন্য নির্ধারিত মেয়াদে মাসিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ আদায় করা হয়। মঞ্জুরকৃত ঋণ পাওনার উপর ১০% (ক্রমহ্রাসমান) হারে সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয়। এখানে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধিত আসলের উপর পরবর্তীতে আর কোন সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয় না বিধায় মেয়াদ শেষে গড় সার্ভিস চার্জের হার প্রকৃত হিসেবে ৫% দাঁড়ায়। তবে মনে রাখা প্রয়োজন যাঁরা সময়মত মাসিক কিস্তি পরিশোধ করেন তারাই সার্ভিস চার্জের ক্ষেত্রে বর্ণিত ৫% এর সুযোগ পেয়ে থাকেন। এ কর্মসূচির ক্রমপুঞ্জিত ঋণ আদায়ের হার ৯৩%